সঞ্জিব দাস, গলাচিপা, পটুয়াখালী।
ঘুর্ণিঝড় আম্ফানেগাছ চাপায় এক শিশু নিহতসহ গলাচিপায় ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, বেড়ি
বাঁধ ও রবিশষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে কাচা রাস্তাঘাট ভেঙ্গে
কোথাও কোথাও বৃহস্পতিবার অন্তত দশ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের সময় গাছ
চায় পানপট্টির খরিদা গ্রামের রাশাদ (৫) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন,
সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গলাচিপার বদনাতলী লঞ্চঘাটের ১২টি দোকান সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। লঞ্চঘাট
এলাকার ভাতের হোটেল মালিক শেফালী বেগম বলেন, ‘আমার সোংসার চলতো এই হোডেল দিয়া।
সর্বনাশা আম্ফান সব কাইড়া নিয়া গ্যাছে। এখন আমি ক্যামনে চলমু হেইয়াও জানি না।’
এদিকে, আম্ফানের প্রভাবে পানির চাপে গলাচিপার গোলখালী, ডাকুয়া ইউনিয়নের বেড়ি বাঁধ
ছিড়ে যাওয়া স্থান দিয়ে আজও জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের বাকি
আশাটুকুও শেষ হয়ে গেছে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুর ইসলাম জানান, গলাচিপা উপজেলায়
১২টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা। উপাজেলায় ৪৬৮টি কাচা ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে
এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ২ হাজার ৬২৪টি।
মাছের ঘেরে আনুমানিক এক কোটি টাকার
মাছ ভেসে গেছে। গলাচিপার মেমসাহেব নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় টিনসেটের ভবন সম্পূর্ণ
বিধবস্ত হয়। এছাড়াও গলাচিপার গোলখালী, রতনদীতালতলী, পানপট্টি ও ডাকুয়া ইউনিয়নের
বেড়ি বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বেড়ি বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি জানার জন্য পটুয়াখালী
পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, ঝড়ে ক্ষয় ক্ষতির
হেসেব দিতে একটু সময় হবে।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,
‘দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসেবে নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।
তবে আগামী কালকের মধ্যে সব হিসেব প্রকাশ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে যে হিসেবে
দেওয়া হয়েছে।